ভাষণের বিষয় ছিল - ইঞ্জিনিয়ারিং অফ লাইফ
অনেক কিছু বললাম, নানান রকমের প্রশ্ন করা হলো
সাধ্যমত উত্তর দিলাম
শেষে উদ্যোক্তারা জিজ্ঞেস করলেন, আর কিছু জানার আছে
পেছনের সারিতে বসেছিল এক তরুণ যুবক, বললো
লাইফ সম্বন্ধে তো কিছু বললেন না
লাইফ কি শুধু লাইফ সাইন্স
এই রকমের প্রশ্নের অপেক্ষা আমি করছিলাম না
সহজে দমে যেতেও তো পারিনা, বিজ্ঞের মত বললাম
আমি দার্শনিক নই, বৈজ্ঞানিক
যুবক বললো, আমিও দার্শনিক নই, বিজ্ঞানের ছাত্র
আশা করেছিলাম জীবন সম্বন্ধে কিছু বলবেন
কিছুটা ভেবেচিন্তে বললাম
ধরুন, শরীর ভালো নেই, মনের অবস্থা তথৈবচ
কি করি বুঝতে পারছি না, ডাক্তারের কাছে গেলাম
ডাক্তার বললেন, বেরিয়ে পড়ুন
জিজ্ঞেস করলাম, কোথায়
বললেন, জীবন মানে অমৃতের সন্ধান
জিজ্ঞেস করলাম, তার মানে
ডাক্তার বললেন, যেতে হবে নিজের কাছে
এত সহজে কি নিজের কাছে যাওয়া যায়
তাও চেষ্টা করলাম, নিজেকে কয়েকটি অদ্ভূত প্রশ্ন করলাম
যেমন, গান গাইতে ভালোবাসি, গাইতে পারি, গাই না কেন
নিজের চোখে অন্যের চোখের জল দেখতে পাই না কেন
যুবক আমাকে জিজ্ঞেস করল, অমৃতের সন্ধান পেয়েছি কি
বললাম, অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি, মীমাংসায় পৌছতে পারিনি