দেখে তো মনে হয় বাঙালি
কথাবাত্রা শুনে বোঝার উপায় নেই, বাড়ি কোথায়
কানপুর এ, মা'র জন্ম মির্জাপুর এ, বাবা'র এলাহাবাদ এ
বাংলা লিখতে-পড়তে পারেন
থোড়া বহুত
তো বাংলা কাহাঁ সে সিখা
'উল্টোরথ' পড়ে, 'দেশ’ এর ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারিনি
হিন্দি মেরি পেহলি ভাষা হয়
হিন্দি, নো ভয়, বাংলা, পদে-পদে বিস্ময়
কভি চালিস সে উপর নম্বর নহি আয়ে হিন্দি মে
তাও ভয় পাইনি, ভয়টা মনের ব্যাপার
বাংলাতে লিখতে শুরু করলাম, বুড়ো বয়সে
ভয় কাটিয়ে উঠতে পারিনি আজও
পড়লাম কয়েকটা কবিতার বই, নামকরা লেখকদের
কিছুই বুঝলাম না, ভাবলাম, কি এসে যায়
যদি না বুঝি সুনীল, শক্তি, জয়'র লেখা
আমি তো আর সৌমিত্র নই, আমার বোঝার কোনো দাম নেই
জানিনা চৌপাই কাকে বলে, দোহা কি, একটা কথা জেনেছি
লেখার সময় নিজেকে বলে রাখতে হয়
চালিয়ে যাও, বেশ তো লিখছো
আমি ইউ পি'র বাঙালি
মাছ থেকে মাংস প্রেফার করি
ভাত থেকে রুটি, রসগোল্লা থেকে লাড্ডু
মুগের থেকে আরহার
ফুটবলের থেকে ক্রিকেট
আড্ডা না দিলেও চলে
বেড়াতে না গেলেও চলে
তর্ক না করলেও চলে
তবে মাছের ঝোলের সঙ্গে ভাত না হলে চলেনা
আর দূর্গা পুজোর চারটে দিন ছুটি না নিলে চলেনা
আর পাঁচজন বাঙালি'র মতো
আমি আঁতেল, আমার ইগো আছে
আমার মনে হয়, এভরি পাসিং ডে, আমি ইভল্ভ করছি
এভরি পাসিং ডে, আমি একটু-একটু করে বাঙালি হচ্ছি
আমার বৌ আমাকে ধুতি পাঞ্জাবি পরিয়ে
যখন নিয়ে যায় পুজোর দালানে, বাঙালি সাজিয়ে
আমি বাধা দিইনা, আমার বাঙালি সাজতে ভালোই লাগে